নিউইয়র্কের অবস্থানকালে , ছবিটিতে দেখান হয়য় অমর ( রবি তেজা ), যিনি একবার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন এবং তার কাছ থেকে একটি “ফেডো রিং” হাত থেকে বের করার আগে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছিলেন। যাইহোক, অমর এ বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অসচেতন ছিলেন এবং তিনি এটিও জানতেন না যে তাঁর একাধিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি রয়েছে। এর ফলে তিনি তার নিজের পাশাপাশি আরও অতিরিক্ত দুটি পরিচয়ও ধারণ করতেন। প্রতিটি পরিচয়ের একটি ট্রিগার থাকে যার ফলে তিনি এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে রূপান্তরিত হন। যখনই কোনও কিছু বিস্ফোরিত হয় তখনি তিনি আকবরে রূপান্তরিত হন। যেখানে আকবর একজন মুসলিম ব্যক্তি যিনি দরিদ্রদের সাহায্য করেন। আবার যখনই তিনি কাউকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখেন, তিনি একজন শান্ত ডাক্তার মার্ক অ্যান্টনিতে রূপান্তরিত হন। আবার যখনই কিছু বিস্ফোরিত হয়, পুনরায় তিনি তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসেন। একসময় আকবর থাকাকালীন তাঁর পূজা ( ইলিয়ানা ডি ক্রুজ ) নামক এক যুবতীর সাথে দেখা হয়, যারও অবশ্য বহুব্যক্তিত্ব ব্যাধি রয়েছে । একটি জিমে, কয়েক জন পুরুষ তার সাথে ফ্লার্ট করার চেষ্টা করে এবং তারা তাকে “ট্রাস্ট মি” বাক্যটি উচ্চারণ করে তাদের প্রতি আস্থা রাখতে বলে । কিন্তু এ “ট্রাস্ট মি” বাক্যটি শুনলে পূজাও ট্রিগারড হয়ে পড়ে । আর তখনি সে সবাইকে হিংস্রভাবে বেদম মারধর শুরু করে। এতে উপস্থিত সকলে আহত হয়ে পড়ে। এদিকে পূজা আকবরকে ডঃ অ্যান্থনি হিসাবে দেখা করে অবাক হয়েছিলেন, যিনি শীঘ্রই তার থেরাপি শুরু করেছিলেন।
ইতিমধ্যে, এফবিআই অফিসার বলওয়ান্ত খড়গ ( অভিমন্যু সিংহ ) প্রথম ব্যবসায়ী হত্যার তদন্ত শুরু করেন এবং একজন অংশীদার হওয়ার কারণে , বাকি তিন ব্যবসায়ী যারা পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারেন তাদের তা অবহিত করে যাচ্ছিলেন। প্রমাণসমূহ তাকে এটি উপলব্ধি করতে আরও সাহায্য করেছিল যে এই হত্যাকাণ্ডে আমর জড়িত থাকতে পারে। পূজার চাচা জালাল আকবর ( সায়াজি শিন্ডে ) তার সাথে একতাবদ্ধ হন । তাঁর আসল নামটি ঐশ্বরিয়া বলে প্রকাশিত হয়। সময়ের সাথে সাথে অমর বুঝতে পেরেছিলেন যে তার সাথে কিছু ভুল হয়েছে। তিনি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে তার পিতামাতার কবর পরিদর্শন করেন আর তখনই খড়্গ এবং তাঁর সহকারী আধিকারিকরা পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে তাড়া করেন। তিনি পরের টার্গেটটিকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করেন তবে গাড়িতে বুলেট প্রুফ গ্লাস থাকার কারণে ব্যর্থ হন। তিনি একজন আগন্তুক,ববিকে ( সুনীল ) ভাড়া করেন এটি জানতে যে তার কি সমস্যা ছিল। ববি তার সঙ্গে অবস্থানকালে তার বহু রূপের আবির্ভাব সম্পর্কে অবহিত হন। পরবর্তীতে ববি বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর বহুব্যক্তিত্ব ব্যাধি রয়েছে। যখন খড়্গের কাছে ঐশ্বরিয়ার এবং অমর এর অতীত ঘটনা প্রকাশিত হয় জালাল আকবরের কাছ থেকে এবং ডাঃ মার্ক অ্যান্টনির ( সুভলেখা সুধাকর ) কথায়। জানা যায় যে অমর ও ঐশ্বরিয়ার পরিবারের সাথে চার ব্যবসায়ী বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। আর তাদের পরিবার ওই ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে অমরের জন্মদিনে তাদের “ফেডো রিং” প্রদান করে। এর পর চার ব্যবসায়ীদের পরিকল্পনামাফিক তাদের বাসায় গোপনে বোমা রাখা হয়। কিছু সময় পর “ফেডো রিং” পরিহিত ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসে এবং বাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটায়। অমর এবং ঐশ্বরিয়া ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। তবে তাঁরা প্রাণে বেঁচে গেলেও এ ভয়াবহ ঘটনা তাদের মনের ভেতরে তৈরি এক মারাত্নক নেতিবাচক প্রভাব। এই বিস্ফোরণের শব্দেই অমরের মানসিক ব্যধিটি সক্রিয় হয়ে উঠে এবং ব্যবসায়ীদের ভীতিপ্রদর্শন ঐশ্বরিয়ার মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে। ব্যবসায়ীরা অমর,জালাল এবং ঐশ্বরিয়াকে বেশ কয়েকবার তাড়া করে হত্যা করার চেষ্টা করে কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়। এদিকে ঐশ্বরিয়া এবং অমরকে ডাঃ অ্যান্থনির স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছিল এবং সেখানে তারা বিভিন্ন পরিস্থিতির মাধ্যমে পরস্পর পৃথক হয়ে যায়।
বর্তমান সময়ে এসে , অমর দ্বিতীয় ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করেন এবং সেই সময় খড়্গের সতর্কতার জন্য সূত্রও রেখে যান। তবে, এই ব্যাধির কারণে অমর সাবু মেননকে ( আধিত্য ) পুনরায় হত্যা করতে ব্যর্থ হন, যে লক্ষ্যটি তিনি প্রথমে হত্যা করতে ব্যর্থ হন। তারপরে তিনি মেননকে হত্যার জন্য তেলুগু সম্প্রদায়ের একটি সংগঠন WATA-র সদস্যদের নিয়ে চালাকি করেছিলেন। এসব পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল যা খড়্গকে সত্যের দিকে পরিচালিত করেছিল। চতুর্থ ব্যবসায়ী করণ অরোরা ( তরুণ অরোরা ) জালাল ও ঐশ্বরিয়ার মুক্তির বিনিময়ে অমরকে একটি সভার জন্য ডেকেছিলেন। তাঁর প্রিয়জনেরা এখনও বেঁচে আছেন বুঝতে পেরে অমর বিনিময়ের জন্য সেখানে উপস্থিত হন। খড়্গ ও তার সহকারীদের উপস্থিতিতেই আমর একটি লড়াইয়ে লিপ্ত হন । এতে আরোরার সহকারীরা আহত হয় ও অরোরা মারা যান। তিনি শেষ ফেডোর রিংটি তার আঙুল থেকে খুলে নেন এবং তারপরে দৃশ্যপট ছেড়ে চলে যান। এদিকে ঐশ্বরিয়ার পরিবর্তে তিনি অন্য কাউকে অপহরণ করেছেন তা বুঝতে পেরে খড়গ হতাশ হয়ে পরেন। তারপরে অমর তার দীর্ঘ-সময় ধরে পরিত্যক্ত বাড়িতে ঐশ্বরিয়ার সাথে একত্রিত হন। এদিকে ডাঃ অ্যান্টনি জালালকে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তাদের মানসিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করবে। খড়গ অমরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীকালে অমর তাকে একটি ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার পরে সে তাকে আইন হতে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়।