সাপের বিষ থেকে কি কি ওষুধ তৈরি হয়? জানুন-সুস্থ থাকুন-What medicines are made from snake venom?
রোমান সভ্যতায় সাপের বিষকে স্মল পক্স, কুষ্ঠ রোগ, জ্বর এবং ক্ষতের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়েছে। র্যাটেল স্নেকের বিষ খিঁচুনি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
এছাড়া ভাইপারের বিষ রক্ত বন্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। বিশেষত, হিমোফিলিয়া রোগীর শল্য চিকিৎসায় রক্ত তঞ্চনের জন্য ব্যবহার হয়।
In Roman civilization, snake venom was used to treat small pox, leprosy, fever and wounds. Rattlesnake venom is used to treat convulsions.
Also, viper venom is used to stop bleeding. In particular, it is used for blood transfusion in the surgical treatment of hemophilia patients.
জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হয়ে৷ হার্টের প্রচলিত ওষুধে রয়েছে আবার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া৷ চিকিৎসক ও গবেষকরা এখন নতুন ওষুধ তৈরির ব্যাপারে মাথা ঘামাচ্ছেন৷
সাপের বিষ থেকে তৈরি ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম
হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ হল থ্রম্বোসিস বা রক্তের জমাটবাঁধা৷ যে সব ওষুধ দিয়ে রক্তের জমাটবাঁধা দূর করা বা প্রতিহত করা যায়, সেগুলিতে রয়েছে আবার অনেক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া৷ ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লে বিকল্প কোন উপাদান খোঁজ করছিলেন অনেক দিন থেকে৷ অবশেষে সাপের বিষে পেলেন তার সন্ধান৷
পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার গাছগুলিতে আস্তানা গাড়তে ভালবাসে বিষাক্ত ডোরাকাটা সাপেরা৷ গায়ের রঙ কালো, আঁশওয়ালা চামড়া৷ এই সাপের মারাত্মক বিষ যে কী করতে পারে, সেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এক সাপ গবেষক ব্রায়ান গ্রিগ ফ্রাইয়ের৷ তিনি জানান, ‘‘এই সাপ কামড় দেয়ার পর আমি পাঁচ মিনিটের মত অজ্ঞান হয়ে ছিলাম৷ যখন জ্ঞান ফিরল, তখন আমার সারা দেহেই বিষের ঝড় বয়ে গেছে৷ রক্তের রাসায়নিক প্রক্রিয়া প্রায় ধ্বংসের মুখে৷ এজন্য যে ওষুধ দেয়া হয়েছিল, সেটা কাজে লাগতে ১৮ ঘন্টা লেগে যায়৷ সে পর্যন্ত কামড়ের জায়গাগুলি থেকে অনবরত ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়তে থাকে৷”
সাপের বিষের প্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে আঘাতটা সারতে পারেনি৷ এই খবরটা পেয়ে টনক নড়ে ওঠে ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লের৷ হয়তো বা সাপের বিষেই পাওয়া যাবে রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করার নতুন ওষুধ৷ সাপের বিষে রয়েছে নানা ধরনের হাজার হাজার মলিকিউল বা অণু৷ সবগুলোই বিষাক্ত নয়৷ অনেকগুলো আবার অন্য উপাদানের সংস্পর্শে এসে বিষাক্ত হয়৷ ইয়োহানেস এব্লে জানান, ‘‘সাপের বিষে শুধু যে রক্ত জমাটবাঁধা প্রতিহত করার উপাদান রয়েছে তাই নয়, কিছু কিছু উপাদান আবার জমাট বাঁধতেও সাহায্য করে৷ অর্থাৎ এক ধরনের উপাদানের কারণে শিরায় রক্ত যেমন জমাট বেঁধে যায়, অন্য উপাদানের কারণে আবার দেহের কোষে রক্ত প্রবাহিত হয়৷ ফলে রক্তের ঘনত্ব দারুণ কমে যায়৷ যা অত্যন্ত মারাত্মক৷”
সাপের বিষের কোনো কোনো উপাদান মোটেও বিপজ্জনক নয়
এই উপাদানগুলিই কাজে লাগাতে চান বিজ্ঞানী এব্লে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কার্যকর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু তৈরি করতে প্রকৃতির লাখ লাখ বছর লেগেছে৷ তার মানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে কম রাখার জন্য আমাদের প্রকৃতি থেকে শিখতে হবে৷ যার অভাব রয়েছে প্রচলিত ওষুধপত্রে৷”
রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করার উপাদান খোঁজা বেশ সময় সাপেক্ষ৷ প্রথমে রক্ত জমাট বাঁধায় যে অণুগুলি কাজ করে সেগুলিকে খুঁজে বের করতে হবে৷ শরীরের আঘাতের জায়গা থেকে রক্ত পড়তে থাকলে, সেখানে এক ধরনের প্রোটিন বা কোলাজেন তৈরি হয়৷ রক্তের প্ল্যাটেলেট নতুন আকৃতি নেয় এবং তৈরি করে এক ধরনের জাল৷ এই জালই আঘাত থেকে রক্তপাত বন্ধ করে৷
সাপের বিষে একধরনের উপাদান থাকে, যা রক্তের কোলাজেন তৈরিতে বাধা দেয়৷ ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে না পেরে অনবরত পড়তে থাকে৷ এখন প্রশ্ন এই যে, সাপের বিষে হাজার হাজার অণুর মধ্যে যেটি রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করে, সেটিকে খুঁজে বের করা যায় কী ভাবে? এ জন্য বিজ্ঞানী এব্লে ও তাঁর সহকর্মীরা নতুন ধরনের এক পদ্ধতি বের করেছেন৷ প্রথমে রাসায়নিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম কোলাজেন-রিসেপ্টর তৈরি করেন তাঁরা৷ তারপর এটিকে সাপের বিষের সংস্পর্শে এনে রক্তজমাট প্রতিরোধী উপাদানটি খুঁজতে শুরু করেন৷ পদ্ধতিটা খুব সহজ বলেই মনে করেন জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লে৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘অনেকটা মাছ ধরার মত৷ মাছ ধরতে হলে যেমন সঠিক টোপটি ফেলতে হয় তেমনই৷” কৃত্রিম রিসেপ্টরের কাছে সাপের বিষের কিছু অণু জমা হতে থাকলে গবেষণার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়৷ গণিত বিজ্ঞানীরা খুঁজে পাওয়া অনুগুলির চালচিত্র হুবহু অনুকরণ করে কম্পিউটারে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেন৷ রাসায়নিক বিজ্ঞানীরা এই অণুগুলি কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চালান৷ এইসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি নতুন ওষুধ বাজারে আসার আগে আরো অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষার প্রয়োজন৷ এ ক্ষেত্রে জীবরসায়নবিদ এব্লে ও তাঁর সহকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য৷ তাঁদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সাপের বিষে ধন্বন্তরি উপাদানগুলি খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে৷
প্রতিবেদন: রায়হানা বেগম, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
List of dangerous snakes
As of 2022, there are 3,971 known snake species with around 600 venomous species in the world, and about 200 are able to kill a human. This is an overview of the snakes that pose a significant health risk to humans, through snakebites or other physical trauma.
The varieties of snakes that most often cause serious snakebites depend on the region of the world. In Africa, the most dangerous species include black mambas, puff adders, and carpet vipers. In the Middle East the species of greatest concern are carpet vipers and elapids; in Central and South America, Bothrops (including the terciopelo or fer-de-lance) and Crotalus (rattlesnakes) are of greatest concern. In South Asia, it has historically been believed that Indian cobras, common kraits, Russell’s viper and carpet vipers were the most dangerous species; however other snakes may also cause significant problems in this area of the world.[1] While several species of snakes may cause more bodily destruction than others, any of these venomous snakes are still very capable of causing human fatalities should a bite go untreated, regardless of their venom capabilities or behavioral tendencies. The Russell’s viper is one of the most dangerous snakes in all of Asia.