শরীরের জন্মদাগের আড়ালে লুকিয়ে আছে নানা গোপণ তথ্য

জন্মদাগ। প্রায় প্রতিটি মানুষের শরীরের কোনও না কোনও অংশে এই বিশেষ দাগ দেখা যায়। অনেকের আবার বংশ পরম্পরাতেও শরীরের একই স্থানে এমন দাগ থাকে। যার ফলে মা-মেয়ে বা বাবা-ছেলেকে অনায়াসেই চিনতে পারা যায়।

কিন্তু জানেন কি, এই জন্মদাগের আড়ালে লুকিয়ে থাকে নানা গোপন তথ্য? তবে এ নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। তবে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ্যে না এলেও, ১৯৬০ সালে চিকিৎসক ইয়ান স্টিভনসন এ নিয়ে নানা রহস্য ফাঁস করেছিলেন। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল জন্মদাগের কিছু গোপন কথা।

শরীরের আলাদা আলাদা জায়গার জন্মদাগের অর্থও আলাদা। কারও পায়ে জন্মদাগ থাকলে সেই ব্যক্তি সাধারণত বিভ্রান্ত থাকেন। কোনও বিষয় নিয়ে চটপট সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও, তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর অভাবে বাকিদের থেকে পিছিয়ে পড়েন তিনি।

কাঁধে জন্মদাগ বলতে বোঝায় অর্থে টান। এই ব্যক্তিরা প্রায় সারাজীবনই টাকার অভাবে ভোগেন। তবে ডান কাঁধে জন্মদাগ থাকলে সেই ব্যক্তি অত্যন্ত ভাগ্যবান। ভাগ্যের জোরেই বহুদূর এগিয়ে যান তিনি।

লক্ষ্য করে দেখুন তো, বুকের বাঁ-দিকে জন্মদাগ রয়েছে কি না। তাহলে যাতেই হাত দেবেন তা সোনা হতে বাধ্য। প্রতিটি পদক্ষেপে মিলবে সাফল্য। পাশাপাশি আপনার মধ্যে যে রসবোধ রয়েছে, সে বিষয়েও সকলে অবগত। বুকের ডান দিকের নিচে জন্মদাগ থাকলেও, আপনি সৌভাগ্যবান। সম্পদ ও সৌভাগ্যে পরিপূর্ণ আপনার জীবন।

ঘাড়ের ডান দিকে জন্মদাগ থাকার অর্থ সেই ব্যক্তি বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকতেই ভালবাসেন। পরিবার ও বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে তিনি পছন্দ করেন। এক কথায় সংসারে শান্তি বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রয়েছে সেই ব্যক্তির।

কোনও ব্যক্তির হাতে অথবা হাতের আঙুলে জন্মদাগ থাকলে তিনি নিজের কাজ নিজে করতেই ভালবাসেন। অন্যের দয়া বা সাহায্য নেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি।

পেটের কোনও অংশে জন্মদাগ রয়েছে এমন ব্যক্তিকে সমঝে চলবেন। কারণ, সেই ব্যক্তি কিন্তু অত্যন্ত লোভী এবং স্বার্থপর। এমনকী ভালবাসার মানুষকেও তিনি রেয়াত করেন না।

নাকে জন্মদাগের অর্থ আপনি একজন সৃজনশীল ব্যক্তি। যে কোনওরকম আর্টে আপনার প্রতিভা রয়েছে।

পায়ের নিচে জন্মদাগ। তাহলে নিঃসন্দেহে সেই ব্যক্তি ঘুরতে ভালবাসেন। ভবিষ্যতে ট্রাভেলকে পেশা হিসেবেও বেছে নিতে পারেন।

শিশুর জন্মদাগ নিয়ে চিন্তিত?
জন্মের পর শিশুদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লালচে, নীলচে, এমনকি কালো বা বিভিন্ন রঙের দাগ দেখা যায়। এগুলো জন্মদাগ নামে পরিচিত। জন্মদাগ ঠিক কেন হয় তা পুরোপুরি জানা যায়নি।
জন্মদাগ সাধারণত দুই ধরনের। ভাসকুলার মার্ক বা রক্তনালিজনিত জন্মদাগ। এটি সাধারণত ত্বকের নিচের অস্বাভাবিক রক্তনালি বা জমাট রক্তের জন্য দেখা যায়। এগুলো লালচে, গোলাপি বা নীলচে হতে পারে। আর রয়েছে পিগমেন্টেড মার্ক বা রঙিন দাগ। এর কারণ মূলত ত্বকের নিচে রক্তে পিগমেন্ট বা বর্ণ সৃষ্টিকারী উপাদান জমা হওয়া। যেমন মঙ্গোলিয়ান দাগ। এটিই বেশি সাধারণত হয় এবং অনেক শিশুই এ রকম জন্মদাগ নিয়ে জন্মায়। এগুলো কালচে বা নীলচে রঙের। এখন প্রশ্ন হলো, বিভিন্ন ধরনের জন্মদাগের কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কি না। উত্তর হলো—নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব দাগের কোনো গুরুত্ব নেই। তবে রক্তনালিজনিত দাগ, যেমন হেমানজিওমা, যা অস্বাভাবিক রক্তনালির ফুলে ওঠার কারণে হয়ে থাকে। এটি কখনো কখনো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। নয়তো জন্মদাগ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

Media PlantAuthor posts

Avatar for Media Plant

Media Plant is an Entertainment Movies, Drama, Funny Video, Shorts Video, Interviews, Songs, Poem, Story, Vlog, Caller Tunes, Fashion, News, Treatment, Online Shopping and Media House in Bangladesh. মিডিয়া প্ল্যান্ট বাংলাদেশের একটি বিনোদন এবং মিডিয়া হাউস।

Comments are disabled.