চোখের ওপরের পাতা বা নিচের পাতার কোনো অংশ ফুসকুড়ির মতো কিছুটা ফুলে ওঠা মূলত দুটি ভিন্ন সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে একটির নাম ক্যালাজিয়ন, অন্যটি স্টাই। একটির জন্য দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন, অন্যটির জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা না করালেও ক্ষতি নেই। তবে এগুলোর লক্ষণ জেনে রাখা ভালো।
ক্যালাজিয়ন হলে সাধারণত চোখের পাতার ধার থেকে একটু দূরের অংশে ছোট একটি গোটা হতে বা কিছুটা ফুলে উঠতে দেখা যায়। এতে ব্যথা থাকে না। চোখে লালচে ভাবও থাকে না। স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তিরও কোনো সমস্যা হয় না। এ রকম হলে কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে নিয়ে চোখের ফুলে যাওয়া অংশে কয়েকবার হালকা চাপ দিন। চোখের পাতা এবং এর চারপাশে ময়লা জমে থাকলেও তা এভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া যায়। সারা দিনে দুবার এভাবে কুসুম গরম পানির সেঁক দিতে পারেন।
কারও কারও এক চোখের পাতার ফোলা অংশ সেরে যাওয়ার পরে অন্য চোখেও এ ধরনের ফোলা অংশ দেখা দিতে পারে। তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এ ধরনের ফোলা সেরে যায়। তা না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ধরনের ফোলা অংশ বড় হতে থাকলে বা ব্যথা হলে ওই অংশটি বা চোখ লালচে হয়ে যায়। এ অবস্থায় দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
স্টাই নামের অন্য যে সমস্যাটি চোখের পাতায় হয়, সেটিতে চোখের পাতার কিনারায় ছোট একটি গোটা বা ফুলে ওঠা অংশ দেখা যায়। এতে ব্যথা থাকে, লালচে ভাবও থাকে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ
বিভাগীয় প্রধান, চক্ষু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল