“মিডিয়া প্ল্যান্ট” এর ব্যানারে অবিনাশ বাউলের “কাছের মানুষ” ও “আমার প্রাণও বন্ধু আসিয়া”
কাছের মানুষ শিরোনামে গানটি কথা, সুর ও শিল্পী অবিনাশ বাউল নিজেই, আমার প্রাণও বন্ধু আসিয়া কাভার গানটি উকিল মুন্সীর কথা ও সুরে। গান দুটির ভিডিও নির্মাণ ও চিত্রায়ন করেছেন- মারুফ মুন্না। কাছের মানুষ গানটির সঙ্গীত করেছেন- ওয়াহেদ শাহীন, আমার প্রাণও বন্ধু আসিয়া গানটির সঙ্গীত করেছেন- শোভন রায়। শীঘ্রই গানটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “মিডিয়া প্ল্যান্ট” এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ও তাদের ওয়েবসাইট www.mediaplantbd.com এ পাওয়া যাবে।
শিল্পী অবিনাশ বাউল সম্পর্কে-
ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় জন্ম গ্রহন করেন। পিতা গোপেশ্বর বাউল ছিলেন একজন সাধারণ কৃষক। স্কুলে সাংস্কৃতি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে সংগীতের হাতেখরি তার। নিজে নিজে গান শুনে শিখতেন তিনি এবং মনের আনন্দে গলা ছেরে গাইতেন মাঠে ঘাটে আর বন্ধুদের আড্ডায়। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর প্রথম সুর লহরী সঙ্গীত একাডেমিতে ভর্তি হয় এবং কয়েক মাস পর ঢাকায় ঐকতান বিদ্যায়তনে এক মাস গানের ক্লাস করার পরে ওয়াইজঘাট শাখার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হয়। সেখানে তিন বছর ক্লাস করে সর্বশেষ ধানমন্ডি ছায়ানটে ভর্তি হয়ে বর্তমানে অধ্যায়নরত আছেন তিনি।
সকলের কাছে আর্শিবাদ চেয়ে শিল্পী অভিনাশ বাউল বলেন সারা জীবন সুস্থধারার লোকগানের মাধ্যমে একজন ভাল গায়ক এবং মানুষ হয়ে সকলের হৃদয়ের মাঝে যেন বেঁচে থাকতে পারি।
ইতিমধ্যেই শিল্পী অবিনাশ বাউল কয়েকটি অ্যালবাম নিয়ে কাজ করছেন। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘আমি ডুমি তুমি ভাস’ ২০১৩ সালের পহেলা বৈশাখে এম এস এল প্রোডাকশন থেকে বের হয়। ২০১৬ সালের ২৭ মে প্রথম মিক্স অ্যালবাম ‘গহীন গাঙ্গে ধরলাম পাড়ি’ ফোকবাংলার ব্যানারে এবং ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল দ্বিতীয় মিক্স অ্যালবাম ‘বিচার’ সুরঞ্জলীর ব্যানার থেকে রিলিজ করা হয়। এছাড়াও দিলরুবা খান, বিন্দু কনা, বিউটি, নোলক বাবু, সেফালী সারগাম, নওরিনদের মত অনেকের সাথে যৌথ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি গান গাইতে ও সুর করতে পছন্দ করেন, তার সুরে দেশের অনেক জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী কন্ঠ দিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে ২০ টির অধিক মৌলিক গানে কাজ করছেন, কাভার সহ প্রায় ৪০ এর অধিক গান আছে যা লেজার ভিশন, প্রটিউন, সিডি চয়েজ মিউজিক, স্টার টি ভিশন, স্বস্তিকা, বিডি স্টার টিভি, বাংলা টিউন ও বাংলা বিডি ডট কম ইউটিউব চ্যানেলেগুল থেকে রিলিজের অপেক্ষায়।
নিজের প্রাপ্তি ও সফলতার নিয়ে শিল্পী অভিনাশ বাউল বলেন নগন্য ও অজ্ঞ একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে আমার বড় প্রাপ্তি সকলের ভালবাসা। আমার গান কতটুকু ভালবাসেন সেটা বড় কথা নয় তবে আমাকে ব্যাক্তি হিসেবে অনেক ভালবাসেন৷ সেটা আমি উপলব্ধি করি। তবে একটি প্রাপ্তির কথা না বললেই নয় সেটা হলো, আমার একটি মৌলিক গান যেটা বিশ্বব্যাপি সারা ফেলেছে, আমিতো ভালানা ভালা লইয়া থাইকো, গানটি প্রায় হাড়াতে বসেছিলাম, শেষে গানটি কপিরাইট হতে মৌলিক শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি, যার মুল গীতিকার সুরকার টিটু পাগল। গানটি ভুল গীতিকারের নামে চলছিলো পরে টিটু পাগলের নামটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই এটা সত্যি অনেক বড় প্রাপ্তি। আরো বড় প্রাপ্তি হলো কিংবদন্তি দিলরুবা খানের সাথে কাজ করতে পারছি তার সান্নিধ্য আমার নিকট অমুল্য প্রাপ্তি।
বাউল গানকে ভালবাসা এবং ধরে রাখার কারণ হিসেবে শিল্পী অভিনাশ বাউল বলেন আমার বংশগত পদবী বাউল, জানিনা এ পদবীটা না থাকলে গান নিয়ে এতটা যুদ্ধ ও কষ্ট করে টিকে থাকার চেষ্টা করতাম কিনা। আমার শুধু এটাই মনে হয় যে আমাদের পদবী বাউল এবং বর্তমান ও পূর্বপুরুষরা কেউ গান করেনি। গানকে ধরে রেখে আমার এই বাউল পদবীকে স্বার্থক করবো, যেন সবাই বলতে পারে আমাদের বংশে একজন বাউল আছে সে শুধু নামে বাউল না কাজেও বাউল।
No Comment